প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘স্বাধীন দেশের জন্য বিমান বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকায় বিমান বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নতুন এসব প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার বিমান বাহিনীর অপারেশনাল ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দেবে। বিমানবাহিনীতে উন্নতমানের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা নেবে সরকার।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী গড়তে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বিমানবাহিনীতে আরও উন্নত সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। নানা অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা থাকলেও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকার কখনো কার্পণ্য করেনি এবং ভবিষ্যতেও করা হবে না।
রোববার সকালে কুর্মিটোলা বিএএফ ঘাঁটিতে বিমানবাহিনীতি প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার সংযোজন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিমানবাহিনীকে মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো কাছে হার মানি না। আমরা বিশ্ববাসীর কাছে মাথা উঁচু করে চলব। আমরা সব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে আমাদের উত্তরোত্তর সাফল্যের মাধ্যমে আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের বুকে সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে স্থান করে নেব। এজন্য বিমানবাহিনীর ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিগত সাড়ে সাত বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয় বেড়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বসভায় সুনামের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে।’
অনুষ্ঠানে সেসময় প্রধানমন্ত্রী ২১ নম্বর স্কোয়াড্রন লিডার উইং কমান্ডার হাসান আশরাফুজ্জামানের হাতে রাশিয়ার তৈরি কমব্যাট প্রশিক্ষণ বিমান ইয়াক-১৩০ এবং ১ নম্বর স্কোয়াড্রন লিডার আব্বাস উদ্দিনের হাতে ইতালির তৈরি অনুসন্ধান ও উদ্ধার হেলিকপ্টার অগাস্টা এডব্লিউ-১৩৯ এর অন্তর্ভুক্তির আদেশ তুলে দেন। বিমান অন্তর্ভুক্তির আদেশ তুলে দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।